গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে ফ্লিমী স্টাইলে কাজীকে অপহরণ করে মামা-ভাগ্নি বিয়ে । 218 0
গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে ফ্লিমী স্টাইলে কাজীকে অপহরণ করে মামা-ভাগ্নি বিয়ে ।
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার বলরামপুর গ্রামের মামা ভাগ্নি তাদের অসম প্রেম চিরস্থায়ী করতে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে। তারা কাজী অফিসে গিয়ে ১ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে করেন । কিন্তু কমপক্ষে ২ ডজন বিচারাধীন মামলার আসামি পলাশবাড়ির জামায়াতের ক্যাডার আমিনুল নামের জনৈক ব্যক্তি উক্ত অসম বিয়ে সম্পাদনকারী রেজিস্ট্রারকে ফ্লিম স্টাইলে নিজ বাড়ি থেকে উঠিয়ে এনে নিজস্ব ইট ভাটায় আটকে রেখে নির্যাতনের মাধ্যমে উল্লেখিত দেনমোহর ১ লক্ষ টাকাকে ওভার রাইটিং করে ৩ লক্ষ টাকা বানিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলা দায়ের করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, পলাশবাড়ি উপজেলার বলরামপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র আব্দুর রহিম প্রধান প্রতিবেশী হারুন অর রশিদ উজ্জ্বল এর কন্যা মরিয়ম আক্তারকে প্রাইভেট পড়াতো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা গ্রাম সম্পর্কে মামা-ভাগ্নি হলেও সম্পর্কের সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে প্রেমকে চিরস্থায়ী রূপ দিতে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। পরে তারা ৬ মার্চ/২০১৯ ইং গাইবান্ধা সদরের সাহাপাড়া ইউনিয়নের বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার হারুনুর রশিদ এর অফিসে উপস্থিত হয়ে ১ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে করেন।
এদিকে খবর পেয়ে মরিয়ম এর চাচা পলাশবাড়ি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ও পলাশবাড়িসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দায়েরকৃত কমপক্ষে দুই ডজন বিচারাধীন মামলার আসামি ক্যাডার আমিনুল ইসলাম উল্লেখিত কাজী হারুনুর রশিদকে ফ্লিম স্টাইলে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে তার ইট ভাটার একটি কক্ষে আটকে রেখে অমানসিক নির্যাতন করে এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দেনমোহর এক লক্ষ টাকার 'এক' শব্দটিকে ওভার রাইটিং এর মাধ্যমে 'তিন' বানিয়ে অর্থাৎ তিন লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করা দেখিয়ে এই কাবিননামার অবিকল নকল কপি নিয়ে গত ১৬/১০/২০১৯ ইং তারিখে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় বিজ্ঞ আমলী আদালত, পলাশবাড়ি, গাইবান্ধায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যার সি,আর নং- ২৪৭/১৯। এ মামলায় আসামি আব্দুর রহিম সংশ্লিষ্ট আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করে মামলায় হাজিরা দিলে সংশ্লিষ্ট বিচারক জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে গত ৪ ফেব্রুয়ারি/২০২০ ইং আমিনুল ইসলাম এর সাথে তার ইট ভাটায় সাক্ষাতে তিনি এক লক্ষ টাকা দেনমোহর এর স্থলে তিন লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করার সত্যতা স্বীকার করেন।
কাজী হারুনুর রশিদ বলেন, দুই জন লোক এসে আমাকে জোর জবরদস্তি করে উঠিয়ে নিয়ে ঠুটিয়া পাকুর এলাকার একটি ইট ভাটায় এনে আটকে রেখে অমানসিক নির্যাতন করে এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এক লক্ষ টাকা দেনমোহরকে তিন লক্ষ টাকা দেনমোহর বানিয়ে সাথে সাথে অবিকল নকল কপি নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়, এ সময় জামায়াতের ক্যাডার আমিনুল আমাকে বলেন- এ ব্যাপারে কোন মামলা বা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে পরিনতি ভয়াবহ হবে।